জ্বালানি তেল আমদানি থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত যুক্ত হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোক্তারা। তবে বেসরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় কঠোর নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিপিসির কর্মকর্তারা। আর তেলের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বিপিসির পরিবর্তে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাতে ছেড়ে দেয়া জরুরি বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
দেশে বছরে ডিজেলের চাহিদা ৫০ লাখ টনের বেশি। এর কিছু আগে অপরিশোধিত তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করে। কিছু অংশ আসে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া কনডেনসেট পরিশোধনের মাধ্যমে আর বাকি চাহিদা পূরণ হয় সরাসরি ডিজেল আমদানির মাধ্যমে।
এই তেল পেট্রলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনে সরকারি তিন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে বিপণন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারি খাতে তেল পরিশোধন ও বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বেসরকারি রিফাইনরি, বেসরকারি কনডেনসেট ইউনিট থেকে ফ্র্যাকশনেট ইউনিটে তেল যে তারা বানায়, তারা যদি সেটা বিপিসিকে দিতে চায়, বিপিসি কিনবে। যদি না কেনে তাহলে তারা বাজারে বিক্রি করতে পারবে। বিপিসি যে প্রাইজ ফর্মুলা করেছে, সে প্রাইজ ফর্মুলায় তারা বিক্রি করবে। রেগুলেট করবে বিপিসি।
সরকারি-বেসরকারি এ পরিচালনায় ব্যবস্থায় সকল দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে মানসম্মত নীতিমালা প্রয়োজন বলে জানান বিপিসির কর্মকর্তারা
পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, কীভাবে এ প্রক্রিয়ার সাথে একীভূত হবে, নীতিমালাতে একটা প্রাথমিক নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু এর জন্য আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি লাগবে। যে কারণে এখানে অনেকগুলো সাংঘর্ষিক বিষয় থাকতে পারে। আমরা চাই এই পদ্ধতি কাজ করুক।
তবে তেলের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণ বিপিসির হাতে না রেখে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাতে তুলে দেয়া জরুরি বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, এগুলো সবই স্বাধীন রেগুলেটরের মাধ্যমে করা উচিত। ভোক্তাদের যদি জিম্মি করে অতিরিক্ত দাম না নেয়া হয়, এ জিনিসগুলো যদি বিইআরসি স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে পারে। ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষা করতে হবে, একইসাথে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
বিপণনে বেশি সংখ্যক বেসরকারি খাতকে সুযোগ দিলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেবার মান মান বাড়বে বলেও মনে করেন তারা।