পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আর এদিনই টানা পতনের চক্র থেকে বেরিয়ে সূচকের ব্যাপক উত্থান ঘটেছে দেশের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেনও।
শিবলী রুবাইয়াতকে আরো চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
তিনি ২০২৪ সালের ১৭ মে থেকে অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছর বিএসইসির চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে তিনি চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন।
টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে পড়া দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা এক্সচেঞ্জের সূচক এদিন শক্তভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন এক দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৯৭ পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট। গত দিনের তুলনায় ১১২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬১৩ কোটি টাকা।
জানুয়ারিরে শেষের দিকে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর উত্থান হয়েছিলো সূচকের। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক পৌঁছয় ছয় হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। কিন্তু এরপর পতন শুরু হয়। মাঝেমধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও টিকতে পারেনি।
আড়াই মাসের টানা পতনে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স নেমে আসে পাঁচ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। সঙ্গে কমতে শুরু করে লেনদেন।
ফোর্স সেলের চাপে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বিনিয়োগকারীরা যখন ছেড়েই দিয়েছিলো, তখনই আচমকা বাউন্স ব্যাক করে বাজার।
এদিন সকালে সামান্য উত্থানের পর সূচক কিছুটা কমে আসে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে, সঙ্গে সূচকেও আসে তেজিভাব। দিনশেষে টানা চাঙ্গাভাব ধরে রাখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০০টির, কমেছে মাত্র ৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির দাম।
লেনদেনের শীর্ষে থাকে- মালেক স্পিনিং, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, আইটি কনসালটেন্ট, অরিয়ন ইনফিউশন।
দাম বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেয়- বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, জেএমআই সিরিঞ্জ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, রহিমা ফুড ও লাভেলো। দাম কমার শীর্ষে রয়েছে- এডিএন টেলিকম, অ্যারামিট, খান ব্রাদার্স, জিলবাংলা ও সোনালি আঁশ।
বাজারের টানা পতনে গত বুধবার আবার হস্তক্ষেপ করে বিএসইসি। এক দিনে শেয়ার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে নামিয়ে তিন শতাংশ করা হয়।
এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বাজা সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠক এদিন বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বৃহস্পতিবার ব্যাপক দরপতনের পর বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএসইর পরিচালক পর্ষদের সদস্যরা। তারা বাজারে হস্তক্ষেপ না করা এবং রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আইসিবির মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানান।