একাত্তরে জন্ম নেয়া একটি দেশ যুগের সাথে এগিয়েছে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে। আর গেলা এক যুগে বাংলাদেশের সাথী হয়েছে একাত্তর টেলিভিশন। যাত্রার প্রথম দিন থেকেই মানুষের জীবন জীবিকা আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লড়াই আর অর্জন তুলে ধরে একাত্তর অর্থযোগ।
দুর্নীতিবাজ, কারসাজিকারি আর মজুদদারদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠ অর্থযোগ। যুগ বদলে একাত্তর এর অংশীদার অর্থযোগ পরিবার।
ঈদ উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশ। স্বাদ সাধ্যে কোরবানির পশুর মূল্য এখান কোটি টাকাও ছাড়িয়েছে। কিন্তু দারিদ্রসীমার নিচে সেই সব মানুষ, যারা মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট। উৎসবের মাঝেও অর্থযোগ শুনিয়েছে তাদের করুণ কণ্ঠস্বর।
এক যুগের জনপ্রিয় এই টিভি অনুষ্ঠান অর্থনীতির কঠিন সব হিসাবকে সহজ করে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছে। তবে এই পথযাত্রা ওতটাও সহজ ছিলনা।
এইতো সেদিন হাতে অস্ত্রধারী একদল চোরাকারবারি ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি আনছিল দেশে। প্রতিবেদকের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অর্থযোগ তুলে এনেছিল সেই খবরও।
মনে আছে করোনা কালে কঠিন জীবনের কথা। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন বিপন্ন তখন। জরুরি অবস্থা আর লকডাউনে চরমভাবে বিপর্যস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেদিনও তাদের দ্বারে গিয়েছিলো অর্থযোগ।
কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে কোন পণ্যে পৌছাতেই মধ্যস্বত্ব ভোগীরা হাতরে নেয় ৬০ শতাংশ অর্থ। সেই চক্রে আছে রাজনীতিতে আশ্রিত মাস্তানদের চাঁদাবাজি আর পুলিশি হয়রানিও। চাঁদায় কার অংশ কত, এর সমাধানেই বা কি সেটিও খবর করেছে একাত্তর।
শুধুই সংকট? অর্থযোগ খুজেছে সমাধান পথও। দেশের চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সমাধানের পথ দেখিয়েছে অর্থযোগ।
দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ। আইএমএফের ঋণের পরিস্থিতি কিংবা বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাংলাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণের ভেতরেও ঢুকেছে অর্থযোগ।
আর এভাবেই একযুগে মানুষের কণ্ঠস্বর হয়েছে অর্থযোগ। দেশের অর্থনৈতিক সংকট, বিশ্লেষণ আর সমাধান সূত্র নিয়ে যুগ বদলে একাত্তর এর সঙ্গী থেকেছে অর্থযোগ।