সাম্প্রতিক সহিংসতায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে। ঢাকায় দেশি বিদেশি বায়িং হাউজগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিরা একাত্তরকে বলেছেন দমবন্ধ সেই দিনগুলোর কথা।
তাদের মতে, ব্যবসা ও ইমেজের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে তা কাটিয়ে ওঠাও অসম্ভব নয়।
একাত্তরকে এমকেপি ডিজাইনার্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিলিয়ন পার্ক জানান, কোরিয়া, জাপান এবং ইউরোপের ব্রান্ড ও রিটেইলারদের জন্য বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট সোর্সিং করেন তিনি। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হওয়া সময়ে তার ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়েছে যা পোষাতে আমদানিকারকদের সহায়তা চাইবেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের ক্রেতাদের সাথেও তথ্য শেয়ার করবো, তাদের বলবো- আমাদের সাথেই থাকতে।
তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কাইয়ুম রেজা চৌধুরী মনে করেন, বায়াররা এমনিতেই অজুহাত খোঁজে, এই সুযোগে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো উল্টো পোশাকের দাম কমিয়ে দিবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
সাম্প্রতিক ঘটনায় রপ্তানিখাতে কতোটা ক্ষত তৈরি হলো তার হিসেব এখনই পুরোপুরি বলা যাবে না, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি মাশুল গুণতে হবে মনে করেন সিমেক্স মার্চেন্ডাইজিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনোয়ার শহীদ।
তবে বিদেশিরাও জানেন বাংলাদেশ যে কোন সংকট মোকাবিলা করতে জানে ভালো। বাইং খাতের বিশিষ্টজনদের আশা এবারও এই সক্ষমতা প্রমাণ হবে।