বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনের মৌসুমের ক্রয়াদেশ না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন গার্মেন্টস মালিকরা। তারা বলছেন, সহিংসতা এবং কারখানা ঘন ঘন বন্ধ হওয়ায় অনেক ক্রেতা এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার পরিবেশ চান তারা।
কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ এবং ইন্টারনেট সেবা না থাকায় পণ্য রপ্তানি এবং খালাস করা যায়নি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথেও।
বাঁধন ফ্যাশনের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, সোমবার থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের কারফিউ এবং তিনদিনের ছুটি ঘোষণায় আবারও বন্ধ রয়েছে দেশের সব পোশাক কারখানা । এমন পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানি এবং শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখছেন গার্মেন্টস মালিকরা।
বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ হিল রাকিব জানান, অর্থনীতি পঙ্গু হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রপ্তানি খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমএই বলছে, চলমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আগামী মৌসুমের প্রায় ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ হাত ছাড়া হতে পারে।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম জানান, কারখানা বন্ধের কারণে প্রতিদিন পোশাক খাতে অন্তত ১৬শ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ।