দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, এস আলম, নাসা, সামিট, ওরিয়ন ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের (নগদ লিমিটেড) শেয়ার বা মালিকানা হস্তান্তর স্থগিতাদেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে গত রোববার এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে চিঠির বিষয়টি সামনে এসেছে বুধবার।
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) মহাপরিচালক আহসান হাবিবের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ২২৩ ধারার আওতায় এনবিআর কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তর্বর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
'চলমান তদন্ত অনুযায়ী এই কোম্পানিসমূহের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে,' উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়েছে, 'জনস্বার্থে এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (ক্রয়-বিক্রয় ও দান) অবিলম্বে স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি,' উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে তৎপর হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন।
এরি মধ্যে বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসার মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এদের মধ্যে বেক্সিমকোর গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সালমান, নজরুল ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠিও পাঠায় আর্থিক খাতের এ গোয়েন্দা সংস্থাটি।
পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকেও এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।