কলকারখানা প্রায় বন্ধ, খুলছে না দোকানপাটও। আর এতেই প্রভাব পড়েছে জিডিপিপ্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেবে এমন সব খাতে। ফলে ২৬ বছর পর জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমেছে চার শতাংশের নিচে। করোনাকালেযে প্রবাসী আয় আশা জাগিয়েছিলো তাও একমাসের ব্যবধানে কমেছে ৪ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রীও বলছেন, আগামী দিনে অর্থনীতির গতি কোন দিকে যাবে তা নির্ভরকরছে, করোনা ও ভ্যাকসিনকেন্দ্রিক তৎপরতার ওপর। প্রায় ১৬ মাস করোনা ভাইরাসকে সাথে নিয়েই বাংলাদেশের যাত্রা। সংক্রমণরোধে সরকারের দফায় দফায় দেয়া লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধের কারনে ঘুরছে না পরিবহনের চাকা।ব্যবসা-বানিজ্য গুটিয়ে বন্ধ অবস্থায় হাজারো দোকানপাট।
করোনার কারণে জীবিকা হারিয়ে, বেতন কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিমখাচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মজীবি। দরিদ্রের কাতারে নেমেছে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ। আর কর্মহীন হয়েছেনলাখো মানুষ। সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের অর্থনেতিক জীবনে।
রফতানিমুখী পোশাক শিল্প বাদে ঘুরছে না দেশীয় কলকারখানার চাকা। জুলাইমাসে পোশাক রফতানিও ১১ শতাংশ। দু:শ্চিন্তা বাড়াচ্ছে সার্বিক রফতানি প্রবৃদ্ধিও। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংক খাতে বাড়ছেনগদ টাকার পাহাড়।
যে প্রবাসী আয় করোনাকালে আশা জাগানিয়া ছিলো অর্থনীতির জন্য, সেখানেওউঁকি মারছে দুঃশ্চিন্তা। সবমিলিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভালো নেই দেশের অর্থনীতি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও মানছেন টেকসই অর্থনীতির বাধাগুলো।করোনা সংক্রমণ রোধ আর টিকা নিশ্চিত করতে না পারলে এই টালমাটাল অবস্থা কতোটা সামাল দেয়াসম্ভব হবে তা নিয়েও ভাবছেন তিনি।
এ অবস্থায়, করোনার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার নতুন কৌশল খোজাঁরচেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।