ক্যাডার বৈষম্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এনে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালায় কাস্টমস কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে অভিযোগ উঠেছে, ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতায় বরখাস্ত হয়েছেন কমিশনার মাহবুব। আর এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন আওয়ামীপন্থী কিছু কর্মকর্তা। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুকে।
বিসিএস ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা কাস্টমস কমিশনার মাহবুবুর রহমান। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে এনডিসি কোর্সে অংশ নিতে চাকরি থেকে সম্প্রতি এক বছরের ছুটি নেন তিনি। তবে কোর্স থেকে বাদ পড়েছেন গত মাসে। সোমবার তাকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করেছে অর্থমন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ আইআরডি।
মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এডমিন ক্যাডারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার। সোমবার তার বরখাস্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুকে।
প্রতিবাদ জানান মাহবুবের সহকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ এর নিন্দা জানান। তবে, এসব বিষয়ে মন্তব্য করেননি আইআরডি সচিব।
এনডিসি থেকে মাহবুবের বাদ পড়া রহস্যের জন্ম দিয়েছে। গতবছর সিভিল প্রশাসন থেকে আবেদন করেন ৪২ কর্মকর্তা। এদের পাঁচ জনকে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শুরুতেই বাদ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত ভাইভা দেন ১১জন। চূড়ান্ত মনোনয়ন পান সবাই। ১২ জানুয়ারি ছিল ক্লাস শুরুর তারিখ।
রেজিস্ট্রশনও করেন মাহবুব। কিন্তু ১০ তারিখ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাহবুবের নাম প্রত্যাহার করে। তিনি বাদ পড়লেও শেষ পর্যন্ত এনডিসিতে অংশ নেন ১৮ জন। অর্থাৎ ভাইভা না দিয়েও অনেকে সুযোগ পান। এদের মধ্যে শুরুতে বাদ পড়া পাঁচজনও আছেন। এ বিষয়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
অভিযোগ উঠেছে, বরখাস্ত করার আগে মাহবুবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। এসব বিষয়ে বক্তব্য দেননি এ কাস্টমস কর্মকর্তা।