বাজার সহনীয় রাখতে আসছে বাজেটে কমানো হচ্ছে কৃষিপণ্য সরবরাহের উৎসে কর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধান, চালসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য সরবরাহে উৎসে কর হবে দশমিক পাঁচ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব তথ্য জানান তারা। এ সময় কোম্পানির সংজ্ঞা পরিবর্তনসহ বেশকিছু সুপারিশ করেন সাবেক আয়কর কর্মকর্তারা।
ধান, চাল, গম, ভুট্টা, পাটসহ নানা ধরনের কৃষি পণ্যের ব্যবসায় ব্যাপকভাবে যুক্ত হয়েছে বড় বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো। সাধারণত এক শ্রেণির এজেন্টের মাধ্যমে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে তারা।
আবার সরকারও মজুদ রাখতে ধান, চাল ও গম সংগ্রহ করে। এই প্রক্রিয়ায় যারা সরবরাহকারী তাদের কাছে উৎসে কর আদায় করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।
সাবেক কর কর্মকর্তাদের সুপারিশ, কৃষির বিকাশে উৎসে কর তুলে নেয়া হোক। তবে, এনবিআর বলছে, কৃষক সরবরাহকারী নয়। ফলে কর থাকলে কৃষকের ওপরও প্রভাব পড়বে না। আর কর তুলে দিলে এজেন্ট গোষ্ঠী করের আওতায় বাইরে চলে যাবে।
ব্যবসায়ী সংগঠন, সমিতি, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী এনজিওকেও কোম্পানির সংজ্ঞা থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ করেন সাবেক কর কর্মকর্তারা। লোকসান সমন্বয় করার বিধানসহ আরো কিছু ধারা সংশোধনের দাবিও জানান তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, বিদ্যমান আয়কর আইন তেমন ব্যবসাবান্ধব নয়। আগামী বাজেটে করপোরেট কর তেমন না কমলেও উৎসে করহার কমানো হবে। আসছে বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক নিম্নতম করহারের পার্থক্য দূর করা হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।