তুলা ও সয়াবিনের মতো অনেক পণ্যই বিনা শুল্ক অথবা নামে মাত্র শুল্ক দিয়ে আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গুটিকয়েক পণ্যে ৭৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপই বাংলাদেশের জন্য কাল হয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, শুল্ক কমাতে বাংলাদেশের উচিৎ মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক পুনর্বিবেচনার করা। তাহলেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থায় লাভবান হওয়া সম্ভব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে, গেলো বুধবার বাংলাদেশী পণ্যের উপরও আনুপাতিক হারে শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সেখানে দেখানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের শুল্ক আরোপ করা আছে ৭৪ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটিকে আমলেই নিয়েই বাংলাদেশি পণ্যে নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের করলো যুক্তরাষ্ট্র। অথচ তুলা এবং সয়াবিনের মতো বেশিরভাগ পণ্যই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনা অথবা স্বল্প শুল্কে আনা হলেও উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশের মতো গুটি কয়েক পণ্যেই ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা ছিলো।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিৎ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া।
তথ্য বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি রপ্তানির বিপরীতে আমদানিতে দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থাৎ ঘাটতি পাঁচ বিলিয়ন ডলার।
বিজিএমইএ -এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, নতুন করারোপে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক ছাড়াও হয়তো উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতিকেই আমলে নেয়া হয়েছে।
আর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কমাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিকল্প নেই। তার মতে প্রস্তাবিত কর কার্যকর হওয়ার আগেই করনীয় ঠিক করে সেগুলো যুক্তিসহ তুলে ধরতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।