মার্কিন ডলারের দাম বাজারের উপর ছেড়ে দিতে বাংলাদেশকে নতুন করে চাপ দিচ্ছে আইএমএফ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এটি বাজার ভিত্তিকই হবে কিন্তু লাগাম থাকবে তাদের হাতে।
এদিকে, আইএমএফ এর সাথে একমত অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, অস্থির ডলারের বাজারে একটা স্থিতাবস্থায় আনতে, সেটি বাজার ব্যবস্থার উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত।
ব্যাংকাররা অবশ্য বলছেন, ডলার রেট বাজারের উপর ছেড়ে দিলে ভালো। তবে, সেটি এখনই ঠিক হবে কিনা তা ভাবতে হবে।
ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে গেলো বছরের ৮ মে ক্রোলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ১০ টাকা দাম বাড়িয়ে প্রতি ডলারের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা।
এই ভিত্তি মূল্যের ২ শতাংশ বেশি-কমে, কেনা-বেচা হওয়ার কথা ছিলো ডলারের। কিন্তু তখন কয়েকদিন প্রতি ডলার ১২০ টাকায় কেনা হলেও এরপরই দাম উঠে যায় ১২৬/১২৭ টাকায়।
তবে, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিউ ক্রলিং পেগে যেতে চাইলেও, সেখান থেকে সরে এসে কিছুটা বাজার ভিত্তিক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ডলার রেট পুরোপুরি বাজারের উপর ছেড়ে চায় আইএমএফ।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ও বিআইবিএম’র সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলছেন, ডলারের দামটা বাজারের উপর ছেড়ে দেয়া উচিত। ফলে, আইএমএফের চাপে সমর্থন আছে তাদের।
এমটিবি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের বাজার এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। তারপরও ডলার রেট বাজারের উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। তবে, এই মুহূর্তে সেটি ঠিক হবে কিনা সেটিও ভাবতে হবে।
তবে, স্বস্তির কথা হলো, গেলো দুই মাস ধরে বিশ্বজুড়েই ডলারের অবমূল্যায়ন হচ্ছে। আশা করা যায় এর প্রভাবে ধীরে ধীরে আবার শক্তিশালী হবে টাকা!