পুরোনো কে পেছনে ফেলে নতুনের আহ্বানে মেতে ওঠাই নববর্ষের উৎসব। আর সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ মেলা, শহুরে সাজগোজ, প্রাচীন হালখাতা- সব মিলে যে অর্থনৈতিক গতি তৈরি হয় সেটি নববর্ষের অর্থনীতি।
হিসাবের খাতায় পুরোনো দেনা পাওনা চুকিয়ে নতুন করে বছর শুরু করতেই নববর্ষের সাজে সেজেছে তাঁতিবাজারের স্বর্ণের দোকানগুলো। বহুদিনের পুরোনো কাস্টমার নতুন করে নিজেদের সম্পর্কটা ঝালিয়ে নিতে কেউ মেতেছে খোশ গল্পে। দেনা পাওনা চুকিয়ে কিছুটা আপ্যায়ন মিষ্টি মুখ সঙ্গে ছোট কোনো গিফট। বহুকাল ধরে এমন ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে।
হালখাতার এ উৎসকে কেন্দ্র করে দম ফেলার সময় নেই পাশের মিষ্টি দোকানগুলোতে। একের পর এক অর্ডারে হিমশিম অবস্থা এখানকার কর্মীদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন হালখাতা প্রবণতা খানিকটা কমলেও মিষ্টির ব্যবসা মন্দ নয়।
মন্দ নয় ইলিশ মাছের ব্যবসাও। কেবল বৈশাখ উপলক্ষে ২০০ থেকে ৪০০টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ক্রেতারাও হাকিয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে কম খরচে বাজারের ব্যাগে মাছটি তোলার জন্য। যদিও ইলিশ মাছ ধরা বাজারজাতকারণে আছে সরকারের নিষেধাজ্ঞা তার পারেও বাজারে কমতি নেই ইলিশের।
লালসাদা রঙের পোশাকে দিনভর যে উৎসবে মেতেছে সবাই তার আছে ফ্যাশন বাণিজ্যও। যদিও রোজার ঈদের পর খুব বেশি সময় পায়নি ব্যবসায়ীরা তারপরেও বৈশাখের ফ্যাশন বাণিজ্য এবারো মন্দ না জানান তারা।
লোক ঐতিহ্য বাংলার বাদ্যযন্ত্র কাঠের তৈরি নানা সামগ্রীতে দেশব্যাপী যে বৈশাখি মেলা তার বাণিজ্য কম নয়। বংলার উৎসবে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া নানা পণ্য নতুন করে ফিরে পেতে ব্যাকুল উৎসবে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীরা
নববর্ষ কেবল উৎসব নিয়ে আসে না আসে নতুন দিন নতুন সূর্যোদয় নিয়ে। বছরের আবর্জনা দূর করে নতুন করে ধুয়ে মুছে সাজিয়ে নেয় সম্ভাবনার দুয়ারকে।