তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ এর ২০২৫-২৭ বছরের নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্যানেল সাজাচ্ছেন সংগঠনটির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপ, সম্মিলিত পরিষদ এবং ফোরাম। বোর্ডের ৩৫ পরিচালক পদে ভোটে লড়াইয়ে উভয় প্যানেলেই প্রার্থী বাছাইয়ে থাকছে চমক। দুই গ্রুপই জয় নিয়ে আশাবাদী এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটে জিতলে গার্মেন্টস মালিকদের পাশে থাকবেন সব সময়।
আগামী ৩১ মে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএতে নির্বাচন। তথ্য যাচাই বাছাই শেষে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মিলিয়ে ভোটার হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। এসব ভোটাররা বলছেন তারা চান সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হউক সৎ ও যোগ্য প্রার্থী, যারা কাজ করবেন পোশাক শিল্পের কল্যাণে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত পরিষদ বলছে, তাদের প্যানেল আছে অভিজ্ঞ সব প্রার্থী, যারা পোশাক শিল্পের যেকোনো সঙ্কটের সমাধানে সক্ষম। এরিমধ্যে, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নির্বাচনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য প্যানেল ঘোষণা করেছে ‘সম্মিলিত পরিষদ’।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম জানিয়েছেন, আসন্ন ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন তারা।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, ট্যারিফ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, কাস্টমস, ব্যাংকিং, জ্বালানি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কীভাবে মোকাবিলা করে পোশাক শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য একটি যোগ্য প্যানেল উপস্থাপন করার করা হবে।
অন্যদিকে ফোরাম বলছে নবীন এবং প্রবীণের সম্মিলিত চমক থাকছে প্যানেলে। যারা ভোটারদের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করবেন পোশাকশিল্পের উন্নয়নে। এদিকে, ঐক্য পরিষদ নামে এবার নতুন একটি প্যানেলের আত্মপ্রকাশ হলেও প্রস্ততি না থাকায় নির্বাচনে অংশ নেবে না।