পাচার হওয়া আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার ফেরত আনাটা কঠিন, বাংলাদেশ ব্যাংকও এই মুহূর্তে প্রস্তুত নয়, ফলে আইন কাঠামো পরিবর্তন করে টাকা ফেরত পেতে পেতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো মার্জার হবে, সেখানে টাকা ঢালতে হবে। তবে কবে মার্জ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে ১৭ হাজার ৩শ’ ৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যা আগের অর্থ-বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউ ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠায়। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১,২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে যা পূর্ববর্তী অর্থ-বছরের তুলনায় ১৩.৯১% বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, তার ধারণা ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা ফেরত আনা কঠিন। তবে, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিদের সম্পদ জব্দ শুরু হয়েছে। আর টাকা ফেরত আনতে ৫ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ব্যাংক মার্জার নিয়েও কথা বলেন গভর্নর। বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো মার্জ করার কথা আগে ভাবা হচ্ছে। সেখানে টাকা ঢালতে হবে। টাকাটা সরকারই দিবে।
কোনো বিজনেস অ্যাকাউন্ট এখন পর্যন্ত ফ্রিজ করা হয়নি এবং হবেও না, কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক চায় না ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক, যোগ করেন আহসান এইচ মনসুর।