প্রস্তাবিত বাজেট অনুমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিন্তু প্রত্যাশার সাথে হতাশাপূর্ণ, ফলে তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা করতে গিয়ে সিপিডি বলছে, মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা শুধু কষ্টকর নয়, তা উচ্চাভিলাষীও। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ একেবারে বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করে সিপিডি। কারণ হিসেবে তাদের যুক্তি, এটি জুলাই আন্দোলনের বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।
২০২৫-২৬ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বরাবরই সরকারের কঠোর সমালোচক সিপিডি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিন্তু প্রত্যাশার সাথে হতাশাপূর্ণ। আবার এই কর আয় দিয়েও বৈষম্য দূর করা একেবারেই দুরূহ বলেও মনে করে সিপিডি।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৯/১০ এর ঘরে থাকা মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার একটা আশা প্রস্তাবিত বাজেটে দিয়েছেন অর্থ-উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। যেটি বাস্তবায়ন শুধু কষ্টকরই নয়, উচ্চাভিলাষী বলেও মনে করে সিপিডি।
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের পরদিন রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত এই আলোচনায়, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিপক্ষে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথাও তুলে ধরে সিপিডি।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কালো টাকা সাদা করতে দেয়া, কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আবার এটি জুলাই বিপ্লবের বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের চেতনার সাথেও সাংঘর্ষিক।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হলে, এনবিআরকে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ আদায় বেশি করতে হবে, সংস্কার ছাড়া যেটি প্রায় অসম্ভব বলেও জানিয়েছে সিপিডি।