কাঁচা চামড়া কেনার জন্য ২৩২ কোটি টাকার ঋণ ফান্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে টাকা দিয়ে ট্যানারি মালিকরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের চাহিদামতো কাঁচা চামড়া কিনতে পারবেন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, কোরবানি ঈদে চামড়া কিনতে যেখানে ২ হাজার কোটি টাকা লাগে, সেখানে ২৩২ কোটি টাকা, খুবই সামান্য। যদিও ট্যানারি মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণ নিয়ে তা শোধ দেন না তারা।
সারা বছর দেশে যে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়, তার অর্ধেকের বেশি হয় কোরবানি ঈদে। ফলে, এই সময়ে চামড়া কিনতে একটু বাড়তি অর্থ লাগে ট্যানারি মালিকদের।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ট্যানারি মালিকদের জন্য কাঁচা চামড়া কিনতে এবার ২৩২ কোটি টাকার ঋণ ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
ট্যানারি মালিকদের ঋণ দেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক স্থানীয় কার্যালয় জিএম শফিকুল ইসলাম জানালেন, কাঁচা চামড়া কিনতে দেয়া ঋণের বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানি ঈদের কাঁচা চামড়া কিনতে তাদের দুই হাজার কোটি টাকার মতো লাগে, সেখানে ২৩২ কোটি টাকা নগণ্য।
সালামা ট্যানারি লিমিটেডের এমডি সাখাওয়াত উল্লাহ মনে করেন সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া ট্যানারি শিল্পে সুদিন ফিরবে না। তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় গেলো ১০ বছর ধরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন ডলারেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে ৯ বছরেরও সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে শতভাগ প্রস্তুত হয়নি কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার -সিইটিপি। যদিও ট্যানারি মালিকদের নিজেদেরকেই ‘ইটিপি’ প্রস্তুত করে নিতে বলেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।