এলডব্লিউজি বা পরিবেশ সুরক্ষা কম্প্লায়েন্স সনদ না থাকায় বাংলাদেশের চামড়া রপ্তানি অনেকটাই চীন কেন্দ্রিক। ফলে ট্যানারি মালিকরা কোরবানির পশুর প্রায় সব চামড়া সংগ্রহ করলেও বিক্রিতে উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।
স্বয়ং ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্লেষকরা বলছেন এলডব্লিউজি সনদ ছাড়াই আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি সম্ভব, দামও পাওয়া যাবে ভালো, শুধু এজন্য প্রয়োজন পশু জবাই থেকে শুরু করে চামড়া সংরক্ষণ এবং বিপণনে মনোযোগ দেয়া।
অন্যান্য বছর প্রায় এক কোটি চামড়া সংগ্রহ করা হলেও এবার ট্যানারিগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ৮০ থেকে ৮৫ লাখের।
যদিও মালিক ট্যানারি সমিতির দাবি এলডব্লিউজি সনদ না থাকায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ দিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে না, তাই বাজারটি হয়ে পড়েছে চীন কেন্দ্রিক।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যসোসিয়েশন সভাপতি শাহিন আহমেদ জানিয়েছেন, চীনা বায়াররাই নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশের চামড়ার বাজার।
শাহিন আহমেদ বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকাতে বাদ দিয়ে কম্প্লায়েন্স চায় না এমন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা থাকলেও সেটা কেনো কাজে লাগানো যাচ্ছে না সেটাও ব্যাখ্যা করেন এই নেতা।
আরেক ট্যানারি মালিক ইকবাল হোসেন এবং চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী বলছেন মানে ভালো হলেও পশু জবাই থেকে শুরু করে সংরক্ষণ এবং রপ্তানির বিভিন্ন ধাপে সমস্যার কথা।
ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ বলেন, চামড়ার বাজার এবং পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে ট্যানারি মালিকদেরই, আর সহায়তা করবে সরকার।
বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হলেও চামড়া খাত থেকে বাংলাদেশের আয় বছরে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের মতো সেটি মোট বিশ্ববাজারের একেবারেই নগণ্য অংশ।