চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক শেষে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ শতাংশ। মোট ঋণের এক চতুর্থাংশই এখন খেলাপি আর প্রথমবার তা ছাড়ালো ৪ লাখ কোটি টাকার ঘর।
আবার এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা অবধারিতই ছিলো; বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, খেলাপি ঋণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পেছনে, অন্তত পাঁচটি কারণ তুলে ধরলেন বিশেষজ্ঞরা।
পট পরিবর্তনের সময় থেকে, এস আলম গ্রুপের মালিকদের মতো মাফিয়ারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আর মাফিয়া ডন সালমানদের জেলে যাওয়ার পর প্রতি প্রান্তিকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ! সবশেষ জানুয়ারি থেকে মার্চ; তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে তা সাড়ে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ বেড়ে দেশের ইতিহাসে প্রথমবার চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ প্রান্তিক শেষে দেশের মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ এখন খেলাপি ঋণ। ২০২৪ সালের মার্চ প্রান্তিকের চেয়ে, এবছরের মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়েছে, ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ!
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল মোট ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। গত বছর মার্চে খেলাপি যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
এর আগে আইএমএফ’র চাপের কথা চেপে গেলেও, নীতি পরিবর্তনের কারণে যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে সেই আভাস আগেই দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
ডিসেম্বর প্রান্তিকের তথ্য প্রকাশ করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেছিলেন, কোনো ঋণের কিস্তির মেয়াদের শেষ তারিখের ৯০ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলেই শুধু খেলাপির খাতায় নাম উঠবে না। আগে এই সুযোগ ছিলো ১৮০ দিন।