জাহাজ থেকে তেল খালাসে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে দেশের।
একই সাথে কমবে তেলের জাহাজ জট, বাঁচবে সময়ও। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন, প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্র থেকে দ্বৈত পাইপ লাইনের মাধ্যমে পেট্রোল ও ডিজেল ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত নিয়ে আসার কাজ চলছে।
গভীর সমুদ্র থেকে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ২২০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণের বেশিরভাগ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
এখন মহেশখালীতে চলছে তিনটি করে ডিজেল ও অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্ক নির্মাণ কাজ। আগামী বছরই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শরীফ হাসনাত।
চীনের ঋণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সমুদ্রে ১৫৪ কিলোমিটার আর স্থলভাগে বসবে আরও ৭৪ কিলোমিটার ডাবল পাইপ লাইন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে জাহাজ আসবে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে। সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে মহেশখালীতেই স্টোরেজ ট্যাংকে আনা হবে তেল। পরে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তেল আসবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।
বর্তমানে জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগে ১২ দিন। এতে সিস্টেম লসের পাশাপাশি বছর প্রতি অতিরিক্ত খরচ হয় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরে নাব্য সংকট থাকায় গভীর সমুদ্র আসে বড় জাহাজ। তারপর তা খালাস করে ছোট ছোট জাহাজে আনা হয় পরিশোধনাগারে। যা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানালেন, এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তেল খালাসে সময় নেমে আসবে ৪৮ ঘন্টায়। সেই সঙ্গে বাঁচবে অনেক অর্থ।
এই প্রকল্প নির্মাণের ফলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রেও দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
একাত্তর/এআর