শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিন বিকল থাকায় রপ্তানি পণ্যের জট বাড়ছে সেখানকার কার্গো ভিলেজে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত এক মাস ধরে কাস্টমস হাউসে প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে দুই থেকে তিনদিন। এতে পণ্য রপ্তানির খরচ বাড়ছে।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ডিপোর সামনে রপ্তানিপণ্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে শতাধিক ট্রাক।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার না পাওয়া এবং আর জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত পণ্য পাঠাতে অনেকেই এখন বিমানের কার্গোতেই নির্ভরশীল। কিন্তু সেখানেও ভোগান্তির শেষ নেই।
ঢাকা কাস্টমস হাউসে রপ্তানি হয় মূলত পোশাক ও সবজি। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডররা বলছে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ার, অনুপাতে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ঢাকা কাস্টমস হাউসের সক্ষমতা বাড়েনি। এটি বিদেশি ক্রেতার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর ঢাকা কাস্টমস হাউসের বলছে ২০২০ সালে আকাশ পথে পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৯ শতাংশ।
বিজিএমইএ বলছে অর্থনীতির স্বার্থেই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান জরুরি। বর্তমানে আকাশ পথে দেশ থেকে দৈনিক গড়ে ৬০০ টন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। যদিও রপ্তানি চাহিদা এর দ্বিগুণের বেশি।
একাত্তর/এআর