ভোক্তা অধিদপ্তর এবং ট্যারিফ কমিশনকে সাথে নিয়ে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ পরিদর্শন করলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইকনোমিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনোমিক জোন দেখে চমৎকৃত হন সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
পরিদর্শন শেষে সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, মেঘনা গ্রুপের দুই ইকোনমিক জোন দেখে তিনি চমৎকৃত। ইকনোমিক জোনে নীতি সহায়তা বাড়ানো যায় কি না, সেটি ভেবে দেখবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ভোক্তা অধিদপ্তর এবং ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। পরিদর্শক টিমকে মেঘনা ইকনোমিক জোনে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা ঘুরিয়ে দেখান তিনি।
মেঘনা ইকনোমিক জোন পরিদর্শন শেষে মেঘনা বেভারেজ লিমিটেড, মেঘনা সুগার রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পিভিসি লিমিটেড, মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ও মেঘনা সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ঘুরে দেখেন তপন কান্তি ঘোষ।
সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, তারা মেঘনা ইকনোমিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনোমিক জোন ঘুরে দেখেছেন। অনেকগুলো ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেছেন তারা। সেখানে পানির বোতল থেকে শুরু করে বেভারেজ পণ্য, সিমেন্ট, সয়াবিন তেল, চিনিসহ বহু পণ্যের কারখানা ঘুরে দেখেছেন তারা। দেশের বাজারেই মূলত এসব কারখানার পণ্য বাজারজাত হচ্ছে। কেমিক্যালের মতো কিছু পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে আরও অনেক শিল্প দরকার যেগুলোর পণ্য আমরা বিদেশের বাজারেও নিয়ে যেতে পারবো।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সার্বিক কর্মকাণ্ড দেখে চমৎকৃত হয়েছেন উল্লেখ করে, আমদানি বিকল্প শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান সিনিয়র বাণিজ্য সচিব।
সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এতো বড় বড় ফ্যাক্টরি দেখে চমৎকৃত হওয়ার মতোই। দেশে আরও নানা আমদানি বিকল্প শিল্প ও রপ্তানিযোগ্য শিল্প স্থাপনে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।
৪৭ বছর ধরে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের নাম মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। দেশের শীর্ষ এই শিল্প গোষ্ঠীর ৫৪টি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রপ্তানি হচ্ছে ৩৬টি দেশে। আর এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের।