আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গমের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা। আর সেদ্ধ চাল কেনা হবে ৪৯ টাকা কেজি দরে। ধান ও চালের এ দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি চার টাকা বেশি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই ধান চাল সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
এসময় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান, চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে। কৃষি উপদেষ্টা সেখানে যাবেন, উদ্বোধন করবেন। ২৪ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে শুরু হবে।
কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে আশা করছি তার থেকে বেশি উৎপাদন হবে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে ধান কাটার উৎসবে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ধানের উৎপাদন এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে। তাই ধান-চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সরকারি হিসেবে বর্তমানে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।
গত বছর বোরোতে পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চালসহ ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি বোরো ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা দরে কেনে সরকার।