অবশেষে, ৩৫০ সিসির বাইক আসছে দেশে। আগামী বছর নাগাদ দেশীয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলোও আড়াইশ’, তিনশ’ এবং তিনশ’ দশ সিসির বাইক বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। তাদের মতে, বাজারে হায়ার সিসি বাইক আনার আগে, দেশের বাজারকে এসব বাইকের জন্য তৈরি করতে হবে।
বেশি সিসির বাইক চলাচলের অনুমতি দেয়ার ফলে খুশি বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীরা। যারা এই ধরনের বাইক চালাতে চাইছে তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর জুলাই মাসে এই মানের বাইক বাজারে আসবে। এর আগে রয়্যাল এনফিল্ডের মতো ব্র্যান্ডগুলো দেশে আসছে না।
মোটর সাইকেলপ্রেমীদের জন্য নানা দাবি দাওয়া শেষে অবশেষে বেসরকারি, বেসামরিক সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলো হায়ার সিসি মোটর সাইকেল। ৩৫০ সিসি এখন নতুন সীমা যা আগে ছিল ১৬৫ পর্যন্ত। সিসি সীমা বাড়ায় এখন দেশের বাজার বড় হলো, সম্ভাবনা বাড়লো আন্তর্জাতিক নামিদামি আরও ব্র্যান্ডের বাইক দেশের বাজারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের।
দেশের মোটরবাইক নির্মাতা ও আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে বেশি সিসির মোটরসাইকেল বাজারে আনার পূর্বপরিকল্পনায় ব্যস্ত। তবে তাদের বর্তমান পরিকল্পনায় বড় অংশ হিসেবে রয়েছে ৩৫০ সিসির বাইক বাজারে আনার আগে দেশের বাজারকে এ ধরনে বাইকের জন্য প্রস্তুত করা।
জাপানি ব্রান্ড ইয়ামাহার কর্তারা বলেন, বাজারে বাইকের এই সেগমেন্ট হবে খুবই ছোট, কারণ হায়ার সিসি শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণীর ক্রেতার সক্ষমতায় থাকবে।
এদিকে রয়েল এনফিল্ড নিয়ে আসতে যাওয়া ইফাদ মটরসের চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাক্টরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগামী বছরেই মিলবে এই বাইকগুলো। আর বাইকের পার্টস ও সেবা নিয়ে যাতে কোন ঝামেলা না হয় সেই কাঠামোও দেশজুড়ে তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে নানা উন্নত দেশে রয়েছে হায়ার সিসি বাইকের জন্য আলাদা লাইসেন্সিং ব্যবস্থা যা একজন বাইকারকে ধাপে ধাপে হায়ার সিসির বাইক চালানো শেখায়। সেই পদ্ধতি নিরাপত্তা ও বাইকারদের সক্ষমতাও বাড়ায় বলেও জানান তিনি।