মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রভাবে অস্থির হতে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের বাজার। ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাবে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বাঁধার আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে।
এই শঙ্কা সত্যি হলে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল বাণিজ্যের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.০৫ ডলার বা ১.৪৮ শতাংশ দাম বেড়ে ৭০.৮৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল ৮৩ সেন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাম ৭৪.৩৯ ডলার হয়েছে।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যমতে, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্যরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কোনও সামরিক অস্থিরতা হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে।