নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখে এলেন চীন, জাপান, সৌদি, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৬ বিনিয়োগকারী। সেখানকার সুযোগ-সুবিধা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলতে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে সুইডিশ কোম্পানি নির্লন। পর্যায়ক্রমে এখানে ১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। যা জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। প্রথম কোম্পানি হিসাবে ৭৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে সেখানে ফ্রিজ টেলিভিশন, এসিসহ হোম অ্যাপ্লাইন্স পণ্য তৈরি করছে বেকো-সিঙ্গার বাংলাদেশ।
সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফাইরোজ বলেন, সিঙ্গার, বাংলাদেশ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশে কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
সেই বেকো-সিঙ্গারের কারখানাসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন ৩৬ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী। এই দলে ছিলেন চীনের ১০ জন, যুক্তরাষ্ট্রের আট, জাপানের তিন, সৌদি আরবের তিন জনসহ মোট ৩৬ জন বিনিয়োগকারী। সেখানে কারখানা স্থাপনের জন্য বিএসইজেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে সুইডিশ কোম্পানি নির্লন।
সুইডিশ কোম্পানি নির্লনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, যে পরিমাণ জায়গা নিয়ে আমরা শুরু করছি তাতে প্রায় ১৪ মিলিয়ন পর্যন্ত বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে। যে কারখানা আমরা করতে যাচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস অ্যাক্সোসরিজের টার্গেট পূরণের চিন্তা করছি।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সবধরনের সেবা নিশ্চিত করার কথা জানান অর্থনৈতিক অঞ্চলটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের নীতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, এখানে একটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৬০০ একর জমি ল্যান্ড ডেভেলপের কাজ শেষ হয়েছে। আরও ৪০০ একরে কাজ চলছে। পুরো ইকোনমিক জোনের কাজ শেষ হলে আশা করি তখন আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে। আমরা আশা করি, এখানে প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। সেই লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ হবে আগামী ১০ এপ্রিল।
উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে শ্রম মজুরি বেড়ে গেলে তারা সেই সব দেশে কারখানা স্থাপন করে যেখানে শ্রম মজুরি তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশ তেমনই একটি দেশ সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে তাতে ল্যান্ড অব অপরচুনিটি হিসেবে দেখছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে প্রবাসী যেসব বাঙালি আছেন তারাও এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।