করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ওমিক্রনের চার চারটি উপধরন রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে চিন্তায় ফেলে বিএ-২ ধরনটি। কারণ, এটি মূল ধরনের চেয়েও বেশি সংক্রামক।
তবে নতুন উপধরনটি কতোটা মারাত্মক তা নিয়ে খুব বেশি তথ্য এখনো আসেনি। তাই সংক্রমণ পরিস্থিতিকে গভীর নজরে রাখার পরামর্শ এসেছে বিশেষজ্ঞদের কাছে থেকে।
ওমিক্রন ধরনের জিনগত বিন্যাস এবং মানবদেহে এটির আচরণ দিয়ে সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে আমেরিকার গবেষকরা বেশ কিছু তথ্য সামনে এনেছেন।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ওমিক্রন অতি সংক্রামক হলেও নির্দিষ্ট পুরো জনগোষ্ঠীকে সংক্রমিত করতে পারবে না।
তারা বলছেন, ওমিক্রনের প্রথম উপধরনই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। তবে বিএ-২ ধরনটির বিস্তারও দ্রুত ঘটছে।
অন্যদিকে, ওমিক্রনের বিএ-২ উপধরনে কেউ সংক্রমিত হলে, তার বাড়িতে অন্যদের আক্রান্ত করার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৯ শতাংশ।
তবে সবচেয়ে খারাপ খবর হচ্ছে, যাদের দুই ডোজ টিকা নেয়া হয়নি, ওমিক্রনে তাদের আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই টিকাকরণে গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরাও।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হবার পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, সেটির কারণ টিকার নেয়ার পর সৃষ্ট অ্যান্টিবডির চাইতেও কম।
গবেষকরা বলছেন, ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে দিয়ে যে করোনা বিদায় নেবে এমনটা বলার সময় না এলেও টিকা নিলে সেই কাজ অনেক সহজে হতে পারে।
একাত্তর/এসজে