২০১১ সালের ব্যবধান ছাপিয়ে জয়ী হলেন মমতা। রেকর্ড গড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল নেত্রী।
রোববার ভোট গণনার ২১ রাউন্ডে তিনি এগিয়ে ছিলেন ৫৮ হাজার ৩৮৯ ভোটে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় পোস্টাল ব্যালটের ৪৪৩টি ভোট। সব মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে তৃতীয় বারের মুখ্য মন্ত্রিত্ব নিশ্চিত করলেন মমতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৪৬ ভোট।
রাজ্যের বাকি দুই কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জেও এগিয়ে তৃণমূল। জঙ্গিপুরে ২২ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে। আর সামসেরগঞ্জে পাঁচ হাজার ১৩১ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী।
ভবানীপুর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। আগে দুইবার মমতা এখান থেকে জিতেছেন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামে লড়েছিলেন এবং শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান। ভবানীপুরে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি মমতার জন্য ইস্তফা দেন। উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব যে ব্যবধানে জিতেছিলেন, তার চেয়েও বেশি ভোটে জিতছেন মমতা।
ভোট বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো পর্যন্ত ৮১ দশমিক নয় শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপগামী ৭০ অভিবাসী প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ
বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল যুব প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। প্রিয়াঙ্কা প্রচারে কোনো ফাঁকি দেননি। বিজেপি নেতারাও নন। প্রচারের শেষদিনে তো বিজেপির ৮০ জন নেতা প্রচার করেছেন। তারা ভবানীপুরের অলি গলিতে গিয়েছেন। কিন্তু ভোটের প্রথম ১২ রাউন্ডের ফলাফল দেখাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা কোনো চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রীকে। তাকেও জামানত বাঁচানোর জন্য লড়তে হচ্ছে।
সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস প্রথম ১২ রাউন্ডে পেয়েছেন এক হাজার ৬৫৫ ভোট। বোঝা যাচ্ছে, সিপিএম এখনো অন্তত ভবানীপুরের মানুষের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ। ভোট পাওয়ার এই হার বজায় থাকলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ফলে যুব প্রার্থীকেও দিয়েও সিপিএম ভোটদাতাদের মন পায়নি।
একাত্তর/আরএ