চীনের কাছে মাথা নত না করে নিজেদের গণতন্ত্র রক্ষার্থে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের সাথে তাইওয়ানকে একত্রীকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে একদিন পরই বক্তব্য দিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।
অনেকদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের অধীনস্ত বলে দাবি করে আসছে চীন। এর ফলে তাইওয়ানও বেইজিংয়ের শাসন মেনে নিতে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে।
নিজেদের অধিকার পাকাপোক্ত করতে ক্রমাগত তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আসছে চীন। শুধু চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাইওয়ানের আকাশ সীমান্তে ১৪৯টি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে বেইজিং। এর ফলে আকস্মিক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে তাইওয়ান।
রোববার তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক র্যালিতে সাই ইং-ওয়েন বলেন, তার সরকার বেপরোয়াভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। তবে, তাইওয়ানের জনগণ কোন ধরনের চাপের কাছে মাথা নত করবে না সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষণ করার সুযোগ নেই বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বন্দ্বের মধ্যেই তাইওয়ানকে চীনের সাথে একত্র করার ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, চীন আমাদের যে পথে চালাতে চায় সে পথে চললে তাইওয়ানের জনগণের গণতন্ত্র বা সার্বভৌমত্ব রক্ষার কোন সুযোগ নেই। এ পথ অনুসরণ করতে কারো চাপের কাছে আমরা মাথা নত করব না।
তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম রিপাবলিক অফ চায়না। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে একশ' মাইল দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি গণতান্ত্রিকভাবে স্বায়ত্বশাসনের চর্চা করে।
১৯৪৯ সালে চীনে গৃহযুদ্ধের অবসান হলে কমিউনিস্টপন্থীরা বেইজিংয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা করে, আর জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনুসারীরা তাইওয়ানে একটি আলাদা সরকার গঠন করে। সেই থেকে তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে চীন।
একাত্তর/এসজে