ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ভূমিকম্পে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাহাড়ি জেলায় ভূমিধসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল চার দশমিক আট। স্থানীয় সময় শনিবার ভোরের কিছু সময় আগে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এটির গভীরতা ছিলো ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে।
এসময় আতঙ্কিত লোকজন ঘর থেকে রাস্তায় নেমে আসে। মাত্র দু’দিন আগেই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বালি দ্বীপ। এর মধ্যেই জনপ্রিয় ওই দ্বীপে ভূমিকম্প আঘাত হানলো।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিলো বালির বন্দর শহর সিংগারাজা থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছে কারাংগাসেমে বেশ কিছু বাড়ি এবং মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে নগরীতে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
বালি দ্বীপের তল্লাশি ও উদ্ধার এজেন্সির প্রধান গেড ডারমাডা বলেন, তারা এখনও ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় অনেকের হাড় ভেঙে গেছে, আবার কারও মাথায় আঘাত লেগেছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপটির পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কারাঙ্গাসেম ও বাংলি। বালির পার্শ্ববর্তী দ্বীপ লোম্বকেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে দেশটির জরুরি বিভাগ।
গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় ছয় দশমিক দুই মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
একাত্তর/টিএ