যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও নয়টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কার করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। তুরস্ক যে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কথা বলছে, তার সাতটিই তুরস্কের নেটো জোটের মিত্র।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তুরস্কে বিচারাধীন ব্যবসায়ী ওসমান কাভালার মুক্তি দাবি করে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো, তারই প্রতিক্রিয়ায় শনিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন এরদোয়ান।
২০১৩ সালে তুরস্কে চলা বিক্ষোভে অর্থায়ন এবং ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভুত্থানচেষ্টায় জড়িত ছিলেন ব্যবসায়ী ওসমান কাভালা, এমনতাই দাবি তুরস্ক সরকারের। এই অভিযোগে গত চার বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি। কাভালা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত সপ্তাহে তুরস্কে নিযুক্ত কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা এক যৌথ বিবৃতিতে কাভালার মামলায় দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত রায় এবং আটক এ ব্যবসায়ীর মুক্তি দাবি করেন।
তুরস্ক এই যৌথ বিবৃতিটিকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে অ্যাখ্যা দেয়। বিবৃতির পরপরই তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায়।
উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এসকেসেহিরে এক বক্তৃতায় এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি এবং কি করতে হবে তা বলে দিয়েছি। এই ১০ রাষ্ট্রদূতকে এখনই তুরস্কে অগ্রহণযোগ্য (পারসনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের তুরস্ককে জানা ও বোঝা উচিত; যেদিন তারা তা পারবে না, সেদিন তাদের চলে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আটক ১৭ লাখ
তবে এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তুরস্ক থেকে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা হচ্ছে এমন খবরের বিষয়ে তারা অবগত। এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তুরস্ক যদি সত্যিই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করে, তাহলে এরদোয়ান আমলের ১৯ বছরের মধ্যে এটিই হবে পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের সবচেয়ে ফাটল। একইসঙ্গে সাত নেটো জোট মিত্রদের বিষয়েও নতুন করে ভাবতে হবে তুরস্ককে।
একাত্তর/আরবিএস