এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার এক ডোজই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। তাদের দাবি, এই ভ্যাকসিনটি তিন মাস পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে যেসব দেশ বা অঞ্চলে ফ্রিজার বা আল্ট্রা কোল্ড স্টোরেজ নেই সেসব এলাকায়ও এই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানাম গ্রেব্রিয়াসিস বলেছেন, যেহেতু নতুন একটি ভ্যাকসিন এসেছে, সেহেতু এটিকে অবশ্যই বৈশ্বিক সমাধানের অংশ আমাদের ব্যবহার করতে হবে। কোনো দেশ বা মানুষকে বাদ দেওয়া চলবে না। আমরা আশা করি নতুন এই ভ্যাকসিনটি অসমতা দূর করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩ কোটি ডলার পাচ্ছেন নিহত জর্জ ফ্লয়েডের পরিবার
ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিনের ৫০ কোটি ডোজ চেয়েছে কোভ্যাক্স। তবে এই মুহূর্তে জনসনের উৎপাদনজনিত সমস্যা রয়েছে এবং ২০ কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মের্কের সঙ্গে চুক্তি করে উৎপাদনে গতি আনবে জনসন।
এর আগে, ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার (ইএমএ) সুপারিশের পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানিকভাবে জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।