যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত করোনার নতুন ধরণের বিরুদ্ধে ফাইজার ও মর্ডানার টিকা খুব একটা কার্যকর নয়। সেল সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গেল ফেব্রুয়ারিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়্যান্টকে প্রতিরোধ করতে পারে না। এবার নতুন গবেষণায় দাবি করা হলো, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজার ও মডার্নার টিকা কার্যকর নয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি তখনই কাজ করে যখন তা ভাইরাসকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে এবং একে কোষের ভেতর প্রবেশ করতে দেয় না। তখনই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। ওই রকমের বন্ধন তখনই ঘটে যখন অ্যান্টিবডি ও ভাইরাসের আকার যথার্থভাবে একে অপরের সঙ্গে মিলে যায়। বলা যায়, তালা আর চাবির মতো বন্ধন।
তবে বৈশিষ্ট পরিবর্তনের কারণে যদি ভাইরাসের আকারের পরিবর্তন হয় তবে একে অ্যান্টিবডি আঁকড়ে ধরতে পারে না। আর সেকারণে সংক্রমণও ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
গবেষক আলেজান্দ্রো বালাজেস বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তার বিরুদ্ধে ২০-৪০ গুণ বেশি শক্তি নিয়ে লড়াই চালাতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া তিনটি নতুন স্ট্রেইন’। তিনি জানান, এ কারণেই যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরণের বিরুদ্ধে ফাইজার ও মর্ডানার টিকা কম কার্যকারিতা দেখাতে পেরেছে।
