কানাডায় কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ থামাতে অবশেষে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ক্রমাগত বিক্ষোভের প্রভাব মোকাবিলায় সোমবার ইমার্জেন্সি অ্যাক্টের প্রয়োগ করলেন ট্রুডো। গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কানাডার কোন সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন।
জরুরি অবস্থা জারি করে ট্রুডো বলেন, ট্রকচালকদের এই বিক্ষোভ বেআইনি। এটি রাজধানী অটোয়ার বাসিন্দা ও প্রতিবেশিদের চলাচলে বাধা তৈরি করেছে।
একইসাথে অর্থনীতির জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এ বিক্ষোভ। ট্রাক চলকদের এই বিক্ষোভ মোটেও শান্তিপুর্ণ নয় বলেও জানান ট্রুডো।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারিই শেষ উপায় বলেও জানান তিনি। তবে, এর ফলে সাধারণের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানান ট্রুডো।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের বাক স্বাধীনতা সীমিত করছি না, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা সীমিত করছি না। জনগণকে আইনগতভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগে বাধা দিচ্ছি না।
কানাডায় করোনা টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করেছে সে দেশের সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদে নামে সেই দেশের ট্রাকচালকেরা।
‘ফ্রিডম কনভয়’ নাম দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ট্রাকচালকেরা। এতে বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম আটকে যাচ্ছে। এমনকি কানাডা থেকে আমেরিকায় প্রবেশপথও আটকে দিয়েছে।
ট্রাকচালকদের নজিরবিহীন এই আন্দোলনের ফলে গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালতও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জরুরি অবস্থা জারি করায় এখন ট্রাকচালকদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবে সরকার।
কানাডার নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা যখনই উপযুক্ত মনে করবে তখনই আইনটি প্রয়োগ করতে পারবে। তবে সিদ্ধান্তটি অবশ্যই এক সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন করাতে হবে।
একাত্তর/টিএ