চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপ হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন। তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগামী কয়েক বছর মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।
মূলত কোনো অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী একটি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে উঠাকেই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বলে। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ও টিকাদানের মাধ্যমেও এই হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানো যায়।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সাম্প্রতি ইউরোপে বেড়েছে সংক্রমন। এরমধ্যেই অক্সফোর্ডের টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে নানা বিতর্কের পর আবারও শুরু হয়েছে প্রয়োগ। টিকাদান কর্মসূচি চালু থাকলে ইউরোপে জুলাইয়ের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি হতে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপিয় কমিশনের কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন বলেন, ‘একটি প্রতীকী তারিখ হিসাবে ১৪ জুলাই ধরা যেতে পারে। ইউরোপের গোটা অঞ্চলজুড়ে এই সময়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারিকে পরাস্ত করার পথ একটিই, আর সেটি হলো টাকাদান কর্মসূচি চালু রাখা’।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা উৎপাদন ও প্রয়োগে সময় লাগায় চলতি বছরই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জিত হবে না। এক্ষেত্রে, করোনার লাগাম টানতে সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, মাস্ক পরা চালু রাখার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।
একই কথা বলছেন যুক্তরাজ্যের মহামারি বিশেষজ্ঞরাও। এমনকি আগামী কয়েক বছর এসব ব্যবস্থা চালু রাখার কথা বলছে তারা।
ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ ইমিউনাইজেশনের প্রধান ম্যারি রামসি বলেছেন, অন্যান্য দেশ সফলভাবে টিকা না দেয়া পর্যন্ত করোনা থেকে সুরক্ষার মূল বিষয়গুলো কয়েক বছর মেনে চলতে হতে পারে। যে ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে,তা অরক্ষিত লোকজনকে আক্রমণ করবেই। তাই শিগগির এই সংকট থেকে মুক্তি মিলছে না’।
ইংল্যান্ডে ২১ জুনের আগে সব ধরণের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। স্কটল্যান্ডে উপাসনালয় খুলছে ২৬ মার্চ। ওয়েলসে সুপার মার্কেটগুলোতে জরুরি পণ্যের বাইরের পণ্যও বিক্রি শুরু হয়েছে। খুলেছে গার্ডেন সেন্টারগুলো। আর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ১ এপ্রিল থেকে পারিবারিক লোকজন মিলিত হতে পারবে।