ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটি ছেড়েছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি নাগরিক। পরিবার ছেড়ে ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিয়েছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের আগামী তিন বছর আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা বলেছে, ইউক্রেনিয় নাগরিকদের জন্য তাদের দুয়ার খোলা।
কোন মানুষই বিনা কারণে দেশ ছাড়তে চায় না কেউই। তবু যুদ্ধ মানুষকে করে ভিটেমাটি, দেশ, স্বজন ছাড়া। ইউক্রেনের ছবিটা আজ এমনই।
কাতারে কাতারে ঘরহারা মানুষ পায়ে হেঁটে, গাড়িতে চেপে এগিয়ে চলেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের দিকে। রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোলান্ড, স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলি তাঁদের গন্তব্য।
আশ্রয়ের খোঁজে। নিরাপত্তার খোঁজে। শরণার্থী তানিয়া বলেন, দেশে আমাদের একটা বাড়ি ছিল, সেখানে আমারা সুখেই ছিলাম। এখন আমরা জানি না আগামীকাল আমাদের কি হবে।
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশ ছাড়তে নিষেধ করেছে ইউক্রেন সরকার। সেনার পাশে দাঁড়িয়ে দেশ রক্ষায় সাহায্য করবে তাঁরা।
ফলে শিশুদের বাঁচাতে পরিবারের পুরুষদের ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা। চোখের জলে স্বামী, বাবা, প্রেমিককে দিতে হচ্ছে বিদায়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে এক লক্ষের বেশি মানুষ এরই মধ্যে ভিটে হারা হয়েছেন। শরণার্থীদের অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা।
তাদেরই একজন বলেন, আমাদের সবকিছু ছিল, এখন আমারা জানিনা কোথায় যাচ্ছি, কোথায় থাকবো। আমার বয়স্ক বাবা-মাকে ছেড়ে আমাদের চলে আসতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ‘মাফিয়া সাম্রাজ্য’ ইউক্রেন সংকট তৈরি করেছে: খামেনি
পোলান্ডে ইতিমধ্যে ২৯ হাজার শরণার্থী পৌঁছে গিয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের শরণার্থীদের আগামী তিন বছরের জন্য আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।