ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের জন্য প্রতিদিন রাশিয়াকে গুণতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে পরোক্ষ ব্যয়ের হিসাব এখানে ধরা হয়নি। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে যুদ্ধে রাশিয়ার খরচের এই চিত্র।
বলার অপেক্ষা রাখে না, যুদ্ধে প্রাণহানির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও অপূরণীয়। ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু। প্রথম চারদিনে মস্কোর যুদ্ধ ব্যয় সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেন্টার ফর ইকোনোমিক রিকভারি, ইজিবিজনেসের যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়, যুদ্ধ চলতে থাকলে রাশিয়ার দিনপ্রতি সামরিক ব্যয় ছাড়াতে পারে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ব্যয় ছাড়াও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় অপূরণীয় ক্ষতির শিকার রুশ অর্থনীতি।
যুদ্ধের শুরু থেকেই রুবলের দাম কমছে, উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণে গত সপ্তাহে বন্ধ ছিল রুশশেয়ার বাজার। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি, ওরাকল, বিএমডাব্লিউ, অ্যাপল, এয়ারবাসসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি রাশিয়ায় কার্যক্রম, বিনিয়োগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
কয়েকটি রুশ ব্যাংককে সুইফট সিস্টেম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ইউরোপীয় মার্কেট থেকে সরে গেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংক স্বারব্যাংক।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, যুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন পুতিন। দু'পক্ষের অবর্ণনীয় ক্ষতি ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারেননি তিনি। মস্কোর বিরুদ্ধে অকল্পনীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ চলবে বলেও জানান তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধকে, পুতিনের বিশ্বাসঘাতকতার খেলা এবং ইউক্রেনীয়দের প্রাণ বাঁচানোর লড়াই বলে আখ্যা দেন।
এরমধ্যেই ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার আহ্বান জানান মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। জুলিয়াস সিজারের হত্যাকারীর নাম নিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়ায় কি কোনো ব্রুটাস আছে? জার্মান সমরবিদের নাম নিয়ে তিনি বলেন, আছে কি রুশ বাহিনীতে কোনো স্টফেনবার্গ?
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের দুই শহরে রাশিয়ার সাময়িক যুদ্ধবিরতি
পুতিনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ মানুষটাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়াই একমাত্র সমাধান। যা রাশিয়ার জন্য, সারাবিশ্বের জন্য মহৎ কাজ। একমাত্র রুশরাই এ সমাধান করতে পারে। তা না হলে তাদের সারাজীবন অন্ধকারে, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, দরিদ্রতার মধ্যে দিন কাটাতে হবে।