যদি কোনো দেশ ইউক্রেনের আকাশে ‘নো–ফ্লাই জোন’ চালু করে, তাহলে সেই দেশও সংঘাতে অংশ নিয়েছে বলে ধরে নেবে মস্কো।
স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ), রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, কেউ যদি এমন করে তবে তাকে শত্রু হিসেবেই জবাব দেয়া হবে।
পুতিন বলেন, নো–ফ্লাই জোন শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পরার সামিল।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর হামলা থেকে সুরক্ষা পেতে ইউক্রেনের আকাশে নো–ফ্লাই জোন চালু করতে পশ্চিমা দেশের প্রতি আহবান জানান।
তবে তার এই আহবান নাকচ করেছে ন্যাটো। এতে পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ন্যাটোর।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের আকাশসীমাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর কঠোর সমালোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ঠেকাতে বরিসের ছয় দফা পরিকল্পনা
রুশ বিমান সংস্থা এরোফ্লতের কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, কোনো দেশ নো–ফ্লাই জোনের দিকে গেলে, সেই দেশ সশস্ত্র সহিংসতায় অংশ নিয়েছে বলে ধরে নেবে মস্কো।
তিনি বলেন, নেতাদের বুঝতে হবে যে তারা যে পথে এগোচ্ছে, সেই পথেই যদি এগোতে থাকে তাহলে তারা রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলবে।
রাশিয়াতে সামরিক শাসন জারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রুশ নেতা জানান, সামরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে থাকা জায়গা থেকে আগ্রাসন হলে, শুধুমাত্র তখনই এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ নাকচ করে দিয়ে পুতিন বলেছেন, যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সব কিছু সেভাবেই এগোচ্ছে। চিন্তার কিছু নেই।
একাত্তর/এসজে