ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয়তা কোনও ভূমিকা রাখবে না বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার।
তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে এরই মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।
জার্মান গণমাধ্যম বিল্ড আম সনটাগকে ফেজার জানান, আমরা জীবন বাঁচাতে চাই। জীবন পাসপোর্টের ওপর নির্ভর করে না।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে দশ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে। রোববারের পর সেই সংখ্যা ১৫ লাখে পৌঁছাতে পারে।
পোল্যান্ড ও জার্মানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৮৭ হাজার তিনশ’ মানুষ ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। জার্মানিতে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
ইউক্রেন থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় অশ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ফেজার বলেছেন, ‘যারা পালাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ইউক্রেনের নাগরিক। অন্য দেশের যেসব নাগরিকের ইউক্রেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি ছিল, তারাও সেই পরিচয় নিয়েই আসবেন।
ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের কোনো জটিল আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি। ইউক্রেনিয়ানদের নিরাপত্তায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সহযোগিতাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একাত্তর/আরএ