রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলো এগিয়ে না এলেও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রস্তাব দেয় পোল্যান্ড। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারির পর পোল্যান্ডের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন।
জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান দেওয়া হলে বিপর্যয়কর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে সমর্থন করার অর্থ মস্কোর সাথে সরাসরি সংঘাতে অংশ নেওয়া। এক্ষেত্রে রাশিয়া কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না বলেও জানিয়ে দেয় মস্কো।
এদিকে পোল্যান্ডের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, দেশটি কিছু মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান জার্মানির মার্কিন ঘাঁটিতে হস্তান্তর করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোকে ইউক্রেনে পাঠাবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে বিমান দেওয়ার ব্যাপারে পোল্যান্ড যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সমর্থন যোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বে মৃত্যু বাড়লেও কমেছে সংক্রমণ
জার্মানির ন্যাটো ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যদি বিমান উড়িয়ে ইউক্রেনে নিয়ে যায়, তাহলে পুরো ন্যাটো সামরিক জোটের জন্য তা মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন তিনি।
কিরবি আরও বলেন, পোল্যান্ডের এই প্রস্তাব কতটা যৌক্তিক তা আমাদের কাছে একেবারেই পরিষ্কার নয়। এই বিষয়টি কি ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে, তা নিয়ে পোল্যান্ড ও ন্যাটো জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ অব্যাহত রাখবে।
এদিকে পশ্চিমা নেতারা পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
পুতিনের কঠোর অবস্থান ও লাগাতার পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকির ফলে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সরাসরি রাশিয়ার সাথে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে না।
একাত্তর/আরবিএস