যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনে। তার জের পড়েছে বিশ্বের খাদ্য বাজারে, রকেট গতিতেবাড়ছে দাম। খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে ধনী-গরিব সব দেশ।
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাআরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্বের খাদ্যপণ্যে।
রাশিয়ার জ্বালানির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ইউরোপও ধাপে ধাপে কঠোর অর্থনৈতিকনিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে।
রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ, ক্রুড অয়েলবা অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়।
অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি স্টাডিজ জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বেরমোট তেলের ১৪ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপে।
যুদ্ধের কারণে এরইমধ্যে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি উঠেছিল ১৩৯ ডলার পর্যন্ত।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অর্থ খাদ্যপণ্যেসহ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়া। বিশ্বে যার প্রভাবশুরু হয়ে গেছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর সাথে সাথেই বিশ্বজুড়ে শস্য উৎপাদন, ভোজ্য তেলেরযোগান এবং সার রাপ্তানি হুমকিতে পড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ায় বাড়ছে সারের দাম। ফলে, নিত্যপণ্যেরদাম রকেট গতিতে বাড়তে শুরু করে।
বিশ্বে ৮০ শতাংশ সূর্যমুখী তেল রপ্তানি করে ইউক্রেন রাশিয়া। নানা বিধিনিষেধে সূর্যমুখী তেলের যোগান মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ কারণে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের চাহিদা বাড়েছে।
এরইমধ্যে, ১৪ বছরের মধ্যে এবার সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার তেল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ ঘোষণায় পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
ইউক্রেন সরকার এ বছরের জন্য বার্লি, চিনি ও মাংসসহ কৃষিপণ্য রপ্তানির উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে পণ্য পরিবহনও বিঘ্নিতহচ্ছে।
একই সাথে ইউক্রেন রাশিয়া বিশ্বের ৩০ শতাংশ গম রপ্তানি করে। বিশ্বের সবচেয়ে গম রপ্তানিকারক চীনে এ বছর গমের উৎপাদন ‘ইতিহাসে সব থেকে খারাপ’ হয়েছে। ফলে গমের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি,বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ গম, ভুট্টা, আটা ও ভোজ্যতেলসহ খাদ্যপণ্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা।