ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সৌদি আরব সফরে গিয়ে ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে রিয়াদের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবেন; পাশপাশি বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করার বিষয়েও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা।
রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরশীলতা থেকে পশ্চিমকে মুক্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে অলোচনার জন্য বুধবার (১৬ মার্চ) আবুধাবিতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং রিয়াদে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জনসন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্বব্যাপী তেলের বাজার নিয়ন্ত্রনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাশিয়ার পরিবর্তে সৌদি-আমিরাতের জ্বালানীর দিকে ঝুঁকছে ইউরোপ।
এদিকে গত শনিবার সৌদিতে ৮১ জনের গণ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর থেকে বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জনসনের সৌদি সফর নিয়েও বিতর্ক চলছে।
জনসনের মুখপাত্র বলেছেন, জনসন মানবাধিকার এবং মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগের কথা উত্থাপন করবেন এবং ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিন সালমানকে নিন্দা জানাতে বলবেন।
আরও পড়ুন: পুরোদমে স্কুল শুরুর পর রাজধানীতে পুরোদমে যানজট
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়ই এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের বিষয় স্পস্ট করেনি। তবে জনসন যাত্রার প্রাক্কালে বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের "নৃশংস এবং বিনা প্ররোচনায়" হামলার প্রতিক্রিয়া ইউরোপ ছাড়িয়ে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব শুরু হলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির পাশপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে নামতে পারে ধস।
একাত্তর/আরবিএস