ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের চলার সময় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কুচবিহার জেলায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (১০ এপ্রিল) কুচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সংঘর্ষে জড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের সমর্থক ও কর্মীরা। এসময় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এদিকে শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকায় প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া তরুণ বর্মণ নামের ১৮ বছরের এক তরুণ বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিজেপি'র দুষ্কৃতিকারীদের দায়ী করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সকাল থেকেই বিজেপি'র দুষ্কৃতিকারীরা মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত করার চেষ্টা করতে থাকে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ বিজেপি'র পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। মানুষকে কেন ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে তৃণমূল কর্মীরা যখন গিয়েছে তখন বিজেপি'র দুষ্কৃতিকারীরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে হামলা শুরু করে। এরপরই সিআরপিএফ গুলি চালানো শুরু করে আর এতে তৃণমূলের পাঁচ কর্মী নিহত হয়।'
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'মারাত্মক এই হামলার পরও নির্বাচন কমিশন কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোটা দুঃখজনক। পুলিশি নির্দেশে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উর্দি পরিহিত মানুষেরা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করা লজ্জাজনক।'
তবে বিজেপি'র অভিযোগ শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকায় নিহত ব্যক্তি তাদের ওই বুথের পোলিং এজেন্ট। আর তাকে হত্যার জন্য রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে দলটি।
পশ্চিমবঙ্গে চলমান ৮ পর্বের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্বে আজ শনিবার পাঁচ জেলার ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। জেলা পাঁচটি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। আগামী ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে।