করোনা-মহামারি-খরা। তীব্র দাবদাহ আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুনিয়া ধুঁকছে জ্বালানি সংকটে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তেল ও গ্যাসের দাম অনেক বেড়েছে। এই সংকট সামাল দিতে দেশে দেশে নেয়া হয়েছে অভিনব সব কর্মসূচি।
হিটার ও এসির ব্যবহার কমানো:
এ বছর শীতের মৌসুমে, গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া পহেলা নভেম্বরের মধ্যে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ যেন ৮০ শতাংশ পূর্ণ থাকে সেটিও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেনের সরকার জ্বালানি ব্যবহারে সরকারি ভবনগুলোতে হিটিং সীমিত রাখার নতুন নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব ভবনে শীত মৌসুমে তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সে এসি ব্যবহারে ভবনের ভেতরে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৬ ও স্পেনে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে বলা হয়েছে। ফ্রান্সে এসি ব্যবহৃত দোকানপাটে দরজা সব সময় বন্ধ না রাখালে ৭৫০ ডলার জরিমানা। দেশটি মনে করছে এসব ব্যবস্থায় জ্বালানির ব্যবহার ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে।
বাতি নিভিয়ে রাখা:
জার্মানিতে রাতে সরকারি ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনায় আলো জ্বালাবে না। স্পেনের দোকানপাটেও রাত ১০টার মধ্যে বাতি নিভিয়ে রাখতে হবে।
কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো:
চীনের সিচুয়ানে জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি। এই প্রক্রিয়ায় আকাশে মেঘের ভেতরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাঠানো হয় যা বৃষ্টিপাত ঘটায়। দুবাইতে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।
কম কাজ করা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে পাকিস্তানের সরকারি অফিসে কাজের সময় কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা এখন থেকে পাঁচদিন কাজ করবেন। এমনকি শুক্রবার বাড়ি থেকে কাজের চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজা চার্লসের জন্য অপেক্ষা করছে যেসব আচার-অনুষ্ঠান
পরমাণু বিদ্যুৎ:
কোনো কোনো দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় ফিরে গেছে। জার্মানিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আবারও চালু হয়েছে।
ভারত এবছর বিশ্বে রেকর্ড পরিমাণ কয়লা রপ্তানি করেছে। এদিকে, বিকল্প হিসাবে জাপান প্রায় ১১ বছর বিরতির পর ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে চালুর কথা ভাবছে।
সূর্যের আলো:
ফ্রান্স বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চীনের মত দেশ সৌরশক্তির উপর জোর দিচ্ছে।