ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এবার তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তার বক্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকি ইউক্রেন পার্লামেন্টও সেই বক্তব্য নিয়ে চলেছে বিতর্ক।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ইলন মাস্ক তার টুইটার পোস্টে বলেন, ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করেছে সেসব অঞ্চলে আবারও গণভোট আয়োজন করা হোক। যেহেতু পশ্চিমারা রাশিয়ার অধীনে হওয়া গণভোটের ফলাফল মানছে না, তাই এবার সেটি করা হবে জাতিসংঘের অধীনে। এতে করে ওই এলাকার মানুষ স্বাধীনভাবে বেছে নিতে পারবে যে তারা রাশিয়ার সঙ্গে যাবে না ইউক্রেনের সঙ্গে। ভোটে হারলে রাশিয়া তার সেনা সরিয়ে নেবে। তিনি আরও বলেন, ১৭৪৩ সাল থেকে ক্রিমিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ।
ইলনের এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ৬০ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে দ্বিমত জানিয়েছেন ৪০ শতাংশ। মোট ৮৮ হাজার টুইটার ব্যবহারকারী ওই পোস্টে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।
মাস্কের এমন প্রস্তাবের পরপরই এর প্রতিবাদ জানান জেলেনস্কি। তিনি পাল্টা এক টুইটে প্রশ্ন করেন, আপনারা কোন ইলন মাস্ককে পছন্দ করেন? যে ইলন মাস্ক ইউক্রেনকে সমর্থন করে, নাকি যে ইলন মাস্ক রাশিয়াকে সমর্থন করে।
জেলেনস্কির এই টুইটে দুই লাখ টুইটার ব্যবহারকারী তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পক্ষে থাকা ইলনকে পছন্দ করেন।
এদিকে জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি তখনই সম্ভব যখন রাশিয়া ক্রাইমিয়াসহ ইউক্রেনের সকল অঞ্চল ফিরিয়ে দেবে এবং এসব অঞ্চল থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেয়া হবে। রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা হবে এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার বিচার হবে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বিস্ফোরণে নিহত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, আহত এক
অন্যদিকে জার্মানিতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতও ইলন মাস্ককে ‘দূরে থাকো’ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, শুধু ইউক্রেন নয়, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর অনেক নেতারাও মাস্কের ভর্তসনা করেন।
এসব সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন মাস্ক। তিনি বলেন, মতামত কার পছন্দ হলো না হলো তা নিয়ে তিনি ভাবেন না। এই পরিকল্পনা লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
একাত্তর/আরবিএস