চীনা প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ২ আগস্ট থেকে নতুন এই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জো বাইডেন চীনের অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সময়ে চীনের ৩১টি প্রতিষ্ঠানে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। বাইডেনের নতুন নির্বাহী আদেশের পর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯টি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, চীনের অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না, চায়না মোবাইল কমিউনিকেশন গ্রুপ, চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল গ্রুপ, হ্যাংঝউ হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কর্পোরেশন লিমিটেড, চায়না নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন, প্লাস্টিক পাইপ তৈরি প্রতিষ্ঠান অ্যারোসান কর্পোরেশন, হুয়ায়েই টেকনোলজিস লিমিটেড ও সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফেকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনসহ একাধিক জায়ান্ট কোম্পানি রয়েছে নিষেধাজ্ঞার ওই তালিকায়।
নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই চীনের কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নেবে।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা মাফিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যেন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ে এবং বিশ্ব বাজার সর্বনিম্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামনের মাসগুলোতে নতুন এই নির্বাহী আদেশের তালিকায় আরও প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত হবে বলে আমরা আশা করি।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় টিকা নিলেই মিলবে বিয়ার ও বেতনসহ ছুটি!
এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো যখন জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর নজরদারির বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। চীন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগ্রাসী এবং নিজেদের দেশের ভেতরে অত্যাচারী আচরণ করছে বলেও চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন।
একাত্তর/আরএ