উৎপাদন করা স্বর্ণ নিয়ে বিপদ কেটেছে রাশিয়ার। বছরে উৎপাদিত ৩২৫ টন সোনার মধ্যে একশ ১৬ টনের বেশি রপ্তানি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন এবং তুরস্কে।
কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসার পর রাশিয়া থেকে প্রায় এক হাজার স্বর্ণের চালান গেছে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে রুশ স্বর্ণের আমদানি না কমে বরং বেড়েছে।
ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে নিষেধাজ্ঞার চাপে পড়া রাশিয়ার সোনার সবচেয়ে বড় ক্রেতা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত। কারণ, ২০২২ সালে সেখানে রাশিয়া থেকে আমদানি করা সোনা ১ দশমিক ৩ টন বেড়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৭ টন।
এর ঠিক পরেই রয়েছে চীন এবং তুরস্ক। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত এই দুটি দেশে ২০ টন করে সোনা রপ্তানি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার কাস্টমস বিভাগের তথ্য বলছে, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে রাশিয়ার মোট সোনা রপ্তানি করার সোনার ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন এবং তুরস্কে।
নিষেধাজ্ঞার আগে রাশিয়ার সোনা সবচেয়ে বেশি যেত যুক্তরাজ্যে। তবে, পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিশ্বের অনেক বহুজাতিক ব্যাংক, ধাতু পরিশোধন ও ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মস্কোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাই, সংকট কাটিয়ে, টিকে থাকার কৌশল ঠিক করে নেয় রাশিয়া। এ অবস্থায় যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়নি তাদের সাথে আগের চেয়ে বেশি হারে সোনা রপ্তানির চেষ্টা শুরু করেন রুশ উৎপাদনকারীরা। ক্রেতাদের প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে ১ শতাংশ কমে ক্রয়ের সুযোগ দেন তারা।
রাশিয়ার এই কৌশলকে অকার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে অনেক তবে তাতে কাজ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হুমকি দিয়েছিল তুরস্ক আর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল এসব সোনা গলিয়ে নতুন চেহারায় বাইডেনের দেশেও পাঠানো হতে পারে।
তবে আমিরাতের গোল্ড বুলিয়ন কমিটি বলছে, এক রত্তি অবৈধ স্বর্ণের যেন আমদানি বা রপ্তানি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে সরকার।
আরও পড়ুন: ২০ মিনিটের মধ্যে তিন ট্রেনের দুই সংঘর্ষ!
তাই এই তিন দেশে রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পারলেও উৎপাদিত সব সোনা যে রাশিয়া বিক্রি করতে পারছে, ব্যাপারটা সে রকমও নয়।
২০২২ সালে মোট ৩২৫ টন সোনা উৎপাদন করেছে রাশিয়া। সেখান থেকে এ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১১৬ দশমিক ৩ টন।
একাত্তর/আরএ