অবশেষে, ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসরাইল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইরানের মিসাইল কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান জানিয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ ৩২টি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এদিকে ইসরাইল হামলা চালালে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান। বলেছে, এখন থেকে ইসরাইলের যে কোন হামলার জবাব মিলবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। আর সবগুলো জবাবই হবে কঠিন এবং ইসরাইলের জন্য শিক্ষণীয়। আর কোন ছায়াযুদ্ধ নয়, যা হবে সরাসরি।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সোমবার দ্বিতীয়বার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা তলব করেন নেতানিয়াহু। ওই সভাতেই ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেয়া হবে।
তবে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি তিনি। বলেছেন, ইসরাইল এখন শুধুই সামনের দিকে তাকাচ্ছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হবে তা বিবেচনা করছে। ইসরাইলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেয়া হবে। এটা ইসরাইলকে করতেই কবে।
এদিকে ইসরাইলের ওপর হামলার পর ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। এ অবস্থায় ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরাইল, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ।
অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান বলেছেন, তেহরান উত্তেজনা বৃদ্ধির পক্ষে নয়। কিন্তু ইসরাইল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আরও জোরালো জবাব দেওয়া হবে।
ইরাকি উপপ্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী তামিমের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা বাড়াতে চায় না। তবে তেহরান হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রক্ষা করা অব্যাহত রাখবে । তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনা চাই না।
এদিকে ইরানে পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরাইলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইরানের হামলাকে আগ্রাসন হিসাবে উল্লেখ করলেও, এই দুই দেশই মনে করে পাল্টা হামলা হলে তা গোটা বিশ্বে নতুন সংকট তৈরি করবে।