উপসাগরীয় ক্ষুদ্র দেশ কাতার বিশ্বের এক বিস্ময়কর অর্থনৈতিক শক্তি। বিশ্বের ৪০টি দেশে কাতার ৪০০ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভের দশগুণ। এছাড়া বাংলাদেশে আড়াই দশকে কাতারের পণ্য রপ্তানি বেড়ে পৌনে তিনশ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।
চলতি বছরেও উচ্চ মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশের তালিকায় আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রয়েছে কাতার সরকারের আর্থিক বিনিয়োগ।
স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরে কীভাবে এত অসাধ্য সাধন করল কাতার। কীভাবে কাতার এলো বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায়?
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ধনী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসই হল কাতারের অর্থনীতির ভিত্তি। এ থেকে আসে মোট সরকারী রাজস্বের ৭০ ভাগের বেশি, মোট দেশীজ উৎপাদনের ৬০ ভাগের বেশি এবং রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ ভাগ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রিজার্ভ নিয়ে বিশ্বে প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক কাতার।
বিশ্বের ৪০টি দেশে কাতার ৪০০ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই অর্থ বাংলাদেশের বর্তমান বৈদেশিক রিজার্ভের দশগুণ। শুধু যুক্তরাজ্যেই কাতারের বিনিয়োগ ৫৩ বিলিয়ন ডলার।
গালফ অঞ্চলের দেশ কাতারে ২০০০ সালে বাংলাদেশ থেকে বেশি রফতানি হয় বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ আরো কিছু পণ্য। তবে আয় বেশি নয়। উলটো দিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), ইউরিয়া সারের মতো পণ্যে ভর করে বাংলাদেশে কাতারের পণ্য রপ্তানি বেড়ে পৌনে তিনশ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
বিপরীতে দেশটিতে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রফতানি করে বাংলাদেশের আয় ৯ কোটি ডলারের মতো।
তবে কাতারে এখন ৪ লাখ বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। সেটি বাংলাদেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ের একটি বড় বাজার।