দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার সরকারি বাসভবনে আগুন লাগে। ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে আগুন নেভানোর সময় পায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। পুলিশও সেখানে ছিলো। এই খবর সামনে আসার পরই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
ঘটনাটি যখন ঘটে তখন বিচারপতি ভার্মা দিল্লিতে ছিলেন না। তার পরিবারের সদস্যরা ফায়ারসার্ভিসে খবর দেন। ফায়ারসার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পর একটি ঘরে বান্ডিল বান্ডিল নোট পায়।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, বিচারপতি ভার্মা গত শুক্রবার হাইকোর্টে যাননি। বলা হয়েছে, তিনি ছুটিতে আছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই খবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানায়। এরপরই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের কলিজিয়ামের বৈঠক ডাকেন। এই কলিজিয়ামের সদস্য হলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ প্রবীণ বিচারপতি। বিচারবিভাগ নিয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেন।
কলিজিয়াম ঠিক করেছেন, প্রথমেই বিচারপতি ভার্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হবে। কারণ, তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকেই বদলি হয়ে দিল্লি হাইকোর্টে এসেছিলেন।
১৯৯৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটা নীতি নির্দেশিকা তৈরি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অন্যায় কাজ করা, বিচারবিভাগীয় বেনিয়মের অভিযোগ উঠলে কীভাবে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেই নীতি-নির্দেশিকা বলছে, কোনো বিচারক বা বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে প্রধান বিচারপতি অভিযুক্তের কাছ থেকে জবাব চাইবেন। যদি তার জবাবে তিনি সন্তুষ্ট না হন অথবা তার মনে হয়, তদন্ত করা দরকার তাহলে তিনি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করবেন। সেই কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের এক জন ও হাইকোর্টের দুই জন বিচারপতি থাকবেন।
তদন্তের পর যদি কমিটির মনে হয়, যে অভিযোগ করা হয়েছে তা গুরুতর এবং তার অপসারণ দরকার, তাহলে তারা প্রধান বিচারপতিকে সেই রিপোর্ট দেবেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাকে ইস্তফা দিতে বলবেন।
তিনি পদত্যাগ না করলে প্রধান বিচারপতি সরকারকে জানাবেন, সংসদ তাকে ইমপিচ করতে পারে।