চলতি সপ্তাহের শুরুতে আফগানিস্থানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকে হাজার হাজার আফগান নাগরিক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বোল্ডাক/চামন সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করছেন। শরণার্থীদের ঢল নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত বৈধ আফগান পরিচয়পত্র অথবা পাকিস্তানে নিবন্ধিত আফগান শরণার্থী হওয়ার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
এদিকে পাকিস্তান-আফগানিস্থানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম তোরখাম সীমান্তে গত কয়েকদিনে শরণার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এ সীমান্ত দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি হলেও সম্প্রতি এই পথ দিয়েই পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য আফগান শরণার্থীরা জড়ো হচ্ছেন।
আফগানিস্তানের আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনার পর পাক সেনাপ্রধান জেনারেল ওমর জাভেদ বাজোয়া বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগান জনগণের পাশে আছে ইসলামাবাদ।
পাক সেনাপ্রধান আরও বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা জরুরি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে ফোনালাপ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন তারা।
ইমরান খান বলেন, এই সংকট কাটিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিতে অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক সমাধানই সবচেয়ে ভালো উপায়। তারা আফগান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ সালের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ। তার মধ্যে পাকিস্তানও ছিলো।
২০০১ সাল থেকে আফগানিস্থানে সামরিক অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে কয়েক লাখ আফগান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সামরিক জোট আফগানিস্তান ত্যাগ করলে প্রায় রক্তপাতহীনভাবেই দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: ২০ হাজার আফগান শরণার্থী নেবে যুক্তরাজ্য
বর্তমানে পাকিস্তানে ৩০ লাখের বেশি আফগান শরণার্থী রয়েছেন। যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, নতুন করে আর শরণার্থী নেওয়ার সক্ষমতা নেই ইসলামাবাদের।
একাত্তর/আরবিএস